1. admin@protidineralo.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
রাজউক প্লান আর অনুমোদনহীন ভবনে ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে নাসিক ৩ নং ওয়ার্ড কদমতলী থানা সাংবাদিক ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ কদমতলী সাংবাদিক ক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে অভিনন্দন কদমতলী সাংবাদিক ক্লাবের আত্মপ্রকাশ মুন্সীগঞ্জ কৃতি সন্তান র‌্যাবের নতুন ডিজি হলেন ব্যারিস্টার হারুন কদমতলী থানা প্রেসক্লাবের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হাবিবুর রহমান মোল্লার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ রাজধানীর কদমতলী থানাধীন রায়েরবাগে চোরাই পিকআপ সহ তিন সক্রিয় চোরাই সদস্যকে আটক করেছে কদমতলী থানা পুলিশ টঙ্গীবাড়ীতে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকের উপর হামলা পথচারীদের জন্য ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা করেন শ্যামপুর থানা প্রেসক্লাব ঢাকা

সিদ্ধিরগঞ্জে অবৈধভাবে চলছে মেলা, ক্ষতির শিকার স্থানীয় ও আশপাশের ব্যবসায়ীরা

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪
  • ২০৭ বার পঠিত

মো:দেলোয়ার হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-

সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ির পৃথক তিনটি স্থানে অবৈধভাবে চলছে মেলা। এর ফলে ক্ষতির শিকার হতে হচ্ছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এইসব অবৈধ মেলা বন্ধ করতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা একাধিকবার স্থানীয় কাউন্সিলর ইস্রাফিল প্রধানকে জানিয়েও এর কোনো সমাধান পায় নি।
জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের ৯নং ওয়ার্ডের জালকুড়ি দশপাইপ এলাকা, খিরত আলী মসজিদ এলাকা এবং নাইন্তার পাড়া এলাকায় এ মেলা বসেছে। এর মধ্যে প্রতি শুক্রবার জালকুড়ি দশপাইপ এলাকায়, প্রতি শনিবার খিরত আলী মসজিদ এলাকায় এবং প্রতি মঙ্গলবার নাইন্তার পাড় এলাকায় এই মেলা বসে। অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে এইসব মেলা পরিচালনা করা হচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়। নাম মাত্র মূল্যে তারা এখানে বসে বিভিন্ন জিনিসপত্র কম দামে বিক্রি করতে পারায় ক্রেতারা এইসব মেলায় বেশি ঝুঁকছেন।
বিপরীতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেকেই আবার ব্যবসা থেকে সরে আসছেন। এভাবে চলতে থাকলে বাকি ব্যবসায়ীদের আর এখানে ব্যবসা করা সম্ভব হবে না বলে দাবি ভুক্তভোগীদের। এদিকে তাদের দাবি, তারা একাধিকবার স্থানীয় কাউন্সিলর ইস্রাফিল প্রধানকে জানালেও তিনি এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেন নি। বরং তার শেল্টারেই এইসব মেলা বসেছে এমনই অভিযোগ অনেকেরই।
ব্যবসায়ীদের মতে, কাউন্সিলর চাইলেই এইসব অবৈধ মেলা বন্ধ করে দিতে পারেন। তবে কি কারণে তিনি এইসব মেলা বন্ধ করছেন না তা আমাদের বোধগম্য নয়।
জহির উদ্দিন নামের এক কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি এই এলাকায় কাপড়ের ব্যবসা করতাম। কিন্তু অবৈধভাবে এইসব মেলার কারণে আমি ব্যবসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছি। তাদের কোনো দোকানভাড়া দিতে হয় না। তাই তারা আমাদের চেয়ে তুলনামূলক কম দামে জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারেন। কিন্তু আমাদের পক্ষে তো তা সম্ভব না। আমরা এই মেলা বন্ধ করতে কাউন্সিলরকেও জানিয়েছিলাম। কিন্তু সে কোনো ব্যবস্থা নেয় নি।

নাইন্তার পাড়া এলাকার মেলা পরিচালনা করা আকিবুল্লাহ বলেন, এখানে বৈধভাবেই বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে মেলা বসানো হয়েছে। মেলায় বিভিন্ন দোকান দেওয়া ব্যবসায়ীরা কাদের কাছে টাকা দেয় তা আমার জানা নেই। সর্বশেষ তিনি এ প্রতিবেদককে তার সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ করেন।
খিরত আলী এলাকার মেলা পরিচালনা করা কামরুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি বলেন, মেলা বসিয়ে যে অর্থটা আদায় হয় তা সম্পূর্ণ মসজিদের উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করা হয়। এখান থেকে অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো উপার্জন করে না।
জানতে চাইলে নাসিক ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইস্রাফিল প্রধানকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নিবো।

Facebook Comments Box
এই জাতীয় আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ প্রতিদিনের আলো
Theme Customized By Shakil IT Park