গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ-
গাজীপুরের শ্রীপুরে বালুর ট্রাকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মদসহ ছাত্রলীগের সাবেক নেতাসহ ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় শ্রীপুরের মাওনা পিয়ার আলী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ শাহরিয়ারসহ তার ছয় সহযোগীর কাছ থেকে সাড়ে সাত লাখ টাকা মূল্যের ভারতের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১২৫ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় মাওনা ইউনিয়নের পাথারপাড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সোমবার বেলা ১১টায় গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার বাকিরা হলেন- মাওনা পিয়ার আলী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিম খণ্ড (প্রশিকা মোড়) এলাকার ইকবাল হোসেনের ছেলে সাইফ শাহরিয়ার অভি (২৬), একই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিম খণ্ড (চেয়ারম্যান বাড়ীর মোড়) এলাকার নয়নের ছেলে আশরাফুল (২৩), শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়নের বারতোপা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আসাদুল ইসলাম রনি (২৬), নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার নারায়ন ডহর গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে রেজাউল করিম (২৬), একই জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বারমারি (লক্ষ্মীপুর) গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে শহীদ মিয়া (২৫) ও ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার চরকালিবাড়ী গ্রামের মোস্তফার ছেলে লিমন মিয়া (২৩)।
গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই মেহেদী হাসান জানান, নেত্রকোনার রেজাউল করিমের মাধ্যমে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফ শাহরিয়ার অভি দূর্গাপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ড্রাম ট্রাকে বালু নিয়ে শ্রীপুরের মাওনায় (পাথারপাড়) নিয়ে আসে। গোপন সূত্রে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ জানতে পারে ওই ট্রাকের বালুর মধ্যে ড্রামে ভরা বিদেশি মদ রয়েছে। এমন খবরে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে সাইফ শাহরিয়ার অভিসহ তার ছয় সহযোগীকে ভারতের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১২৫ বোতল মদসহ গ্রেফতার করে।
তিনি আরও জানান, এর মধ্যে সাইফ শাহরিয়ার অভি ও রেজাউল করিমকে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে রবিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ শাহরিয়ার অভি বর্তমানে যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। মাদকসহ কোনও অনৈতিক কাজের সঙ্গে ছাত্রলীগের আপস নেই। যদি কেউ অপরাধ করে থাকে তাহলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে।
জেলা ডিবির ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় মাদকদ্রব্য আইনে নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। তাদের মধ্যে দুই জনকে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।